মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে ও এর প্রতিকার

 এই 'বিজ্ঞান-লেখ' এর আলোচ্য বিষয়, মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে ? মৃত্তিকা দূষণের কারণ ?  মৃত্তিকা দূষণের প্রতিকার ? 

মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে ?


উঃ প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম (মনুষ্যসৃষ্ট) কারণে যখন ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের নরম স্তর অর্থাৎ মৃত্তিকা পঠনকারী বিভিন্ন প্রকার জৈব ও অজৈব পদার্থ, খনিজ পদার্থের পরিমাণ তথা মৃত্তিকার গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্য বিনষ্ট হয় এবং মৃত্তিকায় বসবাসকারী জীবের পুষ্টির অভাবে গতিশীলতা হ্রাস পাওয়ায় জৈবিক সমতা ব্যাহত হয়ে উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির হ্রাস ঘটে, তখন তাকে মৃত্তিকা দূষণ বলে।



মৃত্তিকা দূষণ কাকে বলে ?

মৃত্তিকা দূষণের কারণ ?


1)শিল্প কলকারখানার বর্জ্য দ্বারা মাটি দূষণ হয়ঃ প্লাস্টিক ও রং উৎপাদন কারখানা, কয়লা ও খনিজাত শিল্প, ধাতুশিল্প, চর্ম, বস্ত্র, কীটনাশক, কাচ,রাসায়নিক পদার্থের সংশ্লেষণে সেইসব বিক্রিয়াক, বিকারক ও দ্রাবক ও সিমেন্ট শিল্প, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পারমাণবিক চুল্লি থেকে নির্গত বর্জ্যও মাটিকে দূষিত করে।

2)পৌর প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পদার্থ দ্বারা মাটি দূষিত হয়।

3)রাসায়নিক সার দ্বারা দূষণ হয়ঃকৃত্রিম সার প্রয়োগে যেসব ক্ষুদ্র জীবাণু মাটিতে হিউমাস ও পুষ্টিকর পদার্থ উৎপাদন করে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়, মাটির অম্লত্ব বৃদ্ধি পায়। বেশি পটাশিয়াম-ঘটিত সার প্রয়োগে সব্জি এ ফলে ভিটামিন C এবং ক্যারোটিনের পরিমাণ কমে যায়। মাটিতে সুপার ফসফেট প্ররোগে কপার, জিংক প্রভৃতি ধাতু গ্রহণে উদ্ভিদরা বাধা পায়।


4)কীটনাশক দ্বারা দূষণ হয়।

5)তেজষ্ক্রিয় পদার্থ দ্বারা দূষণ
হয়।

মৃত্তিকা দূষণের প্রতিকার ?

  1. কাচ, প্লাস্টিক, কাগজ ইত্যাদির টুকরোকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে।
  2. রাসায়নিক কীটনাশকের বদলে জৈব কীটনাশকের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
  3. নদী ও জলাশয়ের পাড়ে বৃক্ষ রোপন করে ভূমিক্ষয় রোধ করতে হবে।
  4. শিল্পজাত বর্জ্যপদার্থ উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে দূষণমুক্ত করতে হবে।
  5.  তেজস্ক্রিয় জঞ্জালকে যথাযথভাবে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post