কচি ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা

এই আর্টিকেলে আমরা নারিকেল ও কচি ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সবিস্তারে জানবো। নারকেল হল নারকেল গাছের (Cocos nucifera) যা সাধারণত সমতল অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত লবনাক্ত মৃত্তিকায় ভালো হয়। কচি নারিকেলকে আমরা ডাব বলি ।

নারিকেল বা ডাবের পানির উপকারিতা :

নারকেল থেকে নারিকেল পানি বা ডাবের পানি ,নারিকেল দুধ,নারকেল তেল এবং নারকেলের সুস্বাদু শাস পাওয়া যায় যা আমরা প্রতিদিনের জীবনে গ্রহণ করি।


এই নারকেল গাছ প্রায় 4,500 বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মে এসেছে। সম্প্রতি এর স্বাদ, রন্ধনসম্পর্কীয় ব্যবহার এবং সম্ভাব্য স্বাস্থ্য বেনিফিটগুলির জন্য জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।

কচি ডাবের পানির উপকারিতা

ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা


আমরা তাহলে দেখে নেব কচি ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি এক এক করে। প্রথমে দেখে নেব  ডাবের পানির উপকারিতা গুলি তারপর অপকারিতা।

ডাবের পানির উপকারিতা


এখন আমরা জেনে নেবো ডাবের পানির উপকারিতা / ডাবের জলের উপকারিতা গুলো…


💡 ১. ডাবের জলের উপকারিতার মধ্যে অন্যতম এটি খেলে শরীরে পানির অভাব হয় না। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব হলে, বা কোনো কারনে শরীরের তরলতা কমে গেলে ডাবের পানি পান করা খুবই  উপকারী। এটি সাথে সাথেই জলের অভাব কেবলমাত্র পরিপূর্ণ করে তা নয়  প্রয়োজনীয় লবণের পরিমাণও ভারসাম্যপূর্ণ করে থাকে।


 💡 ২. ডাবের পানির উপকারিতা গুলোর মধ্যে বিশেষ একটি হল এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ডাবের জলও ব্যবহৃত হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি এটি হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হয়।


 💡 ৩. কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটবিহীন হওয়ায় এটি হৃৎপিণ্ডের পক্ষে খুব ভাল। এর সাথে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।


 💡 ৪. হ্যাঙ্গওভার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নারকেল জল একটি ভাল প্রতিকার।


 💡 ৫. যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তবে নিয়মিত অবশ্যই নারকেল জল পান করুন


 💡 ৬. মাথা ব্যথার সাথে সম্পর্কিত বেশিরভাগ সমস্যার মূল হ’ল ডিহাইড্রেশনজনিত কারন। এমন পরিস্থিতিতে নারকেল জল পান করলে তৎক্ষনাৎ শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করতে কাজ করে যা হাইড্রেশনের স্তরকে উন্নত করে।


 💡 ৭. শরীরে বার্ধক্যজনিত প্রভাব কমাতে নারকেল জলও ব্যবহৃত হয়। এতে উপস্থিত সাইটোককিনগুলি কোষ এবং টিস্যুতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তা করে।


ডাবের পানির অপকারিতা :


ডাবের পানির তেমন কোনো অপকারিতা না থাকলেও বেশি খেয়ে পেট খারাপ হতে পারে। তাই ১-২ টির বেশি ডাব খাবেন না।


এবার আমরা জেনে নেবো নারিকেলের ১০ টি স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সুবিধা গুলো…


নারিকেলের উপকারিতা :


 ➡  ১. কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধানঃ

নারকেল প্রচুর পরিমাণে ফাইবারযুক্ত যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। যদি সকালে আপনার পেট ভালভাবে পরিষ্কার না হয় তবে রাতে ঘুমানোর আগে এক টুকরো নারকেল খান। কোষ্ঠ কাঠিন্য চলে যাবে। এটি নারিকেলের উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।


আরও জানুনঃ তরমুজের স্বাস্থ্যকর উপকারিতাগুলো।


 ➡ ২. রক্তক্ষরণ রোধঃ

গ্রীষ্মে রক্তক্ষরণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে, নারকেল তাদের জন্য ওষুধের মতো কাজ করে। এ জন্য তারা চিনির মিছরি সহ নারকেল খান। 


 ➡ ৩.বমিভাব দূরঃ

নারিকেলের উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি হল যদি কেউ বমি বমি ভাব করে থাকে তবে এক টুকরো নারকেল মুখে রেখে কিছুক্ষণ চিবিয়ে রাখতে বলুন। বমিভাব কেটে যাবে।


৪. হার্টকে ভালো রাখেঃ

হার্টকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য নারকেল খুব উপকারী কারণ এতে ভালো কোলেস্টেরল পাওয়া যায় যা হার্টের জন্য উপকারী।

জেনে নিন আনারসের উপকারিতা গুলো।


৫. অ্যান্টিবায়োটিকের কাজঃ

নারিকেলে এক ধরণের  অ্যান্টিবায়োটিক থাকে। এটি খেলে সব ধরণের অ্যালার্জি দূরে থাকে। এটি নারিকেলের গুন গুলোর মধ্যে একটি ভালো গুন।


৬.স্মৃতিশক্তি বর্ধকঃ

নারকেল খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। এর জন্য নারকেল,  বাদাম, আখরোট এবং চিনির মিছরি মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে থাকুন ফল পাবেন। 


৭.ওজন হ্রাস করেঃ

নারিকেলের উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম নারিকেল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন হ্রাস করা যায় কারণ এতে ফ্যাট থাকে না। এটি খেয়ে পেট পূর্ণ থাকে, যার কারণে বার বার ক্ষুধা থাকে না।


৮.অনিদ্রা দূর করেঃ

যাদের অনিদ্রা রোগ আছে, রাতে ভালো ঘুম হয়না তাঁরা রাতের খাবারের পরে আধা গ্লাস নরিকেল জল বা ডাবের জল পান করুন। এটি আপনার ভাল ঘুম হতে সাহায্য করবে। এটি একটি ভালো ডাবের পানির উপকারিতা ।

জানুন ইফতারে খেজুরের বিশেষ উপকারগুলো।


৯.কৃমিনাশকঃ


যাদের পেটে কৃমি আছে তারা প্রতিদিন সকালে প্রাতরাশে ১ চামচ গ্রাউন্ড করা নারিকেল খান । এতে পেটের কৃম খুব দ্রুত মারা যায়।


১০. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ

নারকেলে শর্করা কম এবং অ্যামিনো অ্যাসিড বেশি থাকে এছাড়া এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি দুর্দান্ত খাদ্য।


নারিকেলের অপকারিতা :


বেশি নারকেল খেলে পেট খারাপ হয়। নারকেল যেহেতু অত্যধিক ফ্যাট জাতীয় খাবার তাই এটি খেয়ে হজম করা বেশ কঠিন। বয়স্ক ও বাচ্চাদের কম খাওয়া উচিৎ।



এগুলোই হল ডাবের পানির উপকারিত বা ডাবের জলের উপকারিতা যা জেনে রাখা ভালো । এরকম আরও খাদ্যের পুষ্টিগুন জানতে click here

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post